Toyota 1NZ-FE ইঞ্জিন টি ১৯৯৯ সাল থেকে পরিচিত হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ছোট গাড়ি বা লাইট ভেহিকেল গুলোতে ব্যাবহার এর জন্য। একদম ব্র্যান্ড নিউ ক্র্যানকস্যাফট,পিস্টন, কানেক্টিং রড ব্যবহৃত হয়েছে এখানে।১.৫ -২ লক্ষ্য কিলোমিটার কোন রকম সমস্যা ছাড়া অনায়াসে চালানো যায় এতে। তবে ভাল বা রিকমেন্ড করা ইঞ্জিন ওয়েল ব্যবহারে আরো ভালো ফল পাওয়া যায়। মাইলেজের দিক থেকে বেশ সুনাম অর্জন করেছে ইঞ্জিনটি।
১৬ কিলোমিটার পর্যন্ত এটি হইওয়ে তে চলতে পারে। শব্দ এবং ভাইব্রেশন কম হয়। ওজনের দিক থেকেও কম হাওয়ায় স্বাচ্ছন্দে দ্রুত গতি পাওয়া যায় যা হাইওয়ে তে ওভার টেকিং এ আত্ববিশ্বাসী রাখে। এছাড়াও অন্যান্য ইন্জিন এর তুলনায় মেইনটেনেন্স খরচ কম হওয়ায় গ্রাহক চাহিদার শীর্ষে এখনো অবস্থান করছে 1NZ-FE ইঞ্জিন টি।
বিভিন্ন ধরনের ইঞ্জিন এর মধ্যে 1NZ-FE এই ইঞ্জিন টি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত একটি ইঞ্জিন। এটি Toyota এর বহুল বিক্রিত ইঞ্জিনের মধ্যে একটি। এইজন্য Toyota এই ইঞ্জিন টি আজও তৈরি করে যাচ্ছে।
1497 সিসি ইঞ্জিন টির সিলিন্ডার ব্লক অ্যালুমিনিয়াম এলয় এর। যার বোর 75.0 মিলিমিটার এবং 84.70 মিলিমিটার স্ট্রোক।১১২ কেজি ওজনের এই ইঞ্জিন টি গ্যাসোলিন ইঞ্জিন। যার মাইলেজ পাওয়া যায় প্রতি লিটার এ সিটি তে ১৩, হাইওয়ে তে ৬, দুইটা একসাথে ৯.৫ কিলোমিটার।রিকমণ্ডেশন অনুযায়ী 5W-30 অথবা 10W-30 ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করতে হয়।ইঞ্জিন ওয়েল ক্যাপাসিটি বা ধারণক্ষমতা 3.7 লিটার।
৫০০০-১০০০০ কি: মি: চলার পর ইঞ্জিন অয়েল চেঞ্জ করতে বলা হলেও দেশের প্রেক্ষাপট এবং গাড়ির কন্ডিশন এর ভিত্তিতে সেটি নির্ভর করে। ৬০০০ আর পি এম এ ৮১ কিলো ওয়াট বা ১০৯ হর্সপাওয়ার পর্যন্ত পাওয়ার আউটপুট পাওয়া ইঞ্জিনটি ৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উত্তপ্ত হয়। ইঞ্জিন টির টর্ক পাওয়া যায় পর্যায়ক্রমে 4200 আর পি এম এ 141 Nm, 4000 আর পি এম এ 115 Nm এবং 3600 আর পি এম এ 111 Nm ।
প্রতিটি পিস্টন এর জন্য চারটি করে অর্থাৎ ১৬ টি ভালভ এবং ডিওএইচএস(ডবল ওভার হেডেড ক্যামশাফট)-এর একটি ইন- লাইন ইঞ্জিন এটি। 1NZ-FE VVTI( ভি ভি টি আই)( ভারিয়াবল ভালভ টাইমিং উইথ ইন্টিলিজেন্স) এই ইঞ্জিন টি তে ফুয়েল সাপ্লাই সিস্টেম হিসেবে SFI( sequential Fuel Injection) সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে।